আর্টিকেল লেখার নিয়ম - Original ও High Quality আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন

RightSEOTools
0

কিভাবে একটি অরিজিনাল বা হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল লিখবেন- আর্টিকেল লেখার নিয়ম ভালোভাবে জানা থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে খুব ভালো মানের আর্টিকেল লেখা সম্ভব।

একটি ভালো মানের অরিজিনাল আর্টিকেল একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ। আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো মানের কন্টেন্ট বা আর্টিকেল থাকে ,তাহলে ছোট ছোট কনটেন্ট দিয়ে অনেক বড় বড় ওয়েবসাইটকে বিড করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনার আর্টিকেলে থাকতে হবে ইউনিকনেস, হাই কোয়ালিটি, অরিজিনাল কনটেন্ট, এক্সট্রা ফিচার, এবং এক্সট্রা কোয়ালিটি।

তাহলে চলুন, আমরা জেনে নেই কিভাবে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর জন্য অরিজিনাল ও হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল লিখব? আর্টিকেল লেখার নিয়ম।

আর্টিকেল লেখার নিয়ম - Original ও High Quality আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন


ভাল মানের আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট লেখার নিয়ম

আর্টিকেল বা হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট লেখার নিয়ম এর মধ্যে আমরা একটি ফর্মুলা ব্যবহার করব। এবং এ ফর্মুলা অনুযায়ী যখন একটি আর্টিকেল লেখা হবে সে আর্টিকেলটি অবশ্যই হাই কোয়ালিটি অরিজিনাল এবং মানসম্মত হতে হবে।

প্রথমে আমরা একটি আর্টিকেলকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে নেবঃ

যেমন- 

১। রিসার্স পার্ট, 

২। মেইন পার্ট, 

৩। অপটিমাইজ পার্ট

১। রিসার্স পার্ট- আর্টিকের রাইটিং এর জন্য রিসার্চ কিভাবে করবেন

আর্টিকেল রিসার্চ পার্ট এর মধ্যে আমরা জানবো কিভাবে একটি ব্লগের বিষয় নির্বাচন করব? কিভাবে বিষয়ের উপর রিসার্চ করব? এবং কোথায় থেকে কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করবো?

ক) ব্লগ এর বিষয় নির্বাচন:

ব্লগ বিষয় নির্বাচন করার জন্য আমরা একটি সিস্টেম বা ফর্মুলা অবলম্বন করবঃ 
এটা হচ্ছে PIS Method
>>P- Passion: আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ব্লগিং করতে চাচ্ছেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাকে ভাবতে হবে যে বিষয়টি আপনার Passion কিনা। অর্থাৎ আপনি যে কাজটি করতে ভালোবাসেন বা যেই কাজটি আপনার ভালো লাগে অথবা যে বিষয়ে আপনার রিসার্চ করতে ভালো লাগে আপনি সেই বিষয় নিয়ে ব্লগিং শুরু করুন। 
কেননা আপনি এমন একটি বিষয় নিয়ে ব্লগিং শুরু করলেন যেটি আপনি জানেন না বা বুঝেন না তাহলে সেই বিষয়ে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে রিসার্চ করতে হবে। আপনি যদি একজন ট্রাভেলের হন তাহলে আপনি ট্রাভেল বিষয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যেহেতু আপনি একজন ট্রাভেলার সেই হিসেবে আপনার অনেক কিছু আগে থেকেই জানা রয়েছে।

>>I- Interest: দ্বিতীয়ত আপনাকে দেখতে হবে, আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ব্লগিং করতে চাচ্ছেন সে বিষয়টি সম্পর্কে মানুষের ইন্টারেস্ট আছে কিনা। একটি কাজ আপনার পছন্দ কিন্তু সেই বিষয়ে যদি মানুষের ইন্টারেস্ট না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ব্লগিং করে বেশি দূর যেতে পারবেন না। 
আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ব্লগিং করবেন সে বিষয়টি সম্পর্কে যত বেশি মানুষের ইন্টারেস্ট বা চাহিদা থাকবে, আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা তত বাড়বে।

>>S- Source: তারপর হচ্ছে সোর্সিং। আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ব্লগিং করতে চাচ্ছেন সেই বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ট ইনফর্মেশন বা তথ্য আছে কিনা। বা তথ্য সংগ্রহ করার কোন সোর্স আছে কিনা। এমনভাবে আপনাকে বিষয় নির্বাচন করতে হবে যাতে করে সেই বিষয়ের উপর আপনি ইন্টারনেট বা youtube এ প্রচুর পরিমাণে তথ্য পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো? মাত্র ৪টি ধাপে সম্পূর্ণ ব্লগিং টিউটরিয়াল

খ) ব্লগ রির্সাচ কিভাবে করবেন

আপনি যে বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখতে চাচ্ছেন সে বিষয়টি দিয়ে গুগলে অথবা ইউটিউবে সার্চ করবেন। সেখান থেকে পাঁচ থেকে সাতটি কন্টেন্ট ভালোভাবে করতে হবে, যদি ইউটিউব দেখে থাকেন তাহলে ভালোভাবে ভিডিওগুলো দেখতে হবে। 
আপনি যদি পাঁচটি বা সাতটি, ব্লগ পোস্ট বা ভিডিও রিসার্চ করেন তাহলে সে বিষয়ের উপরে নিজের থেকে আপনার মত করে অবশ্যই একটি আর্টিকেল আপনি লিখতে পারবেন।

গ) কোথায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন

একটি ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য তথ্য সংগ্রহের সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে গুগল সার্চ, অথবা ইউটিউব। তবে হ্যাঁ কখনোই অন্য কারোর দেয়া তথ্য হুবহু কপি করার চেষ্টা করবেন না।

২। মেইন পার্ট - আর্টিকেল লেখার নিয়ম

একটি আকর্ষণীয় এবং হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল লেখার জন্য নিচের বিষয়গুলি অবশ্যই ফলো করতে হবে। যেমন

কন্টেন্ট সামারি: 

একটি আর্টিকেলের শুরুতে অবশ্যই 40 থেকে 50 ওয়াট এর মধ্যে একটি সামারি লিখতে হবে, যেখানে আপনার পুরা কন্টেন্টের মূল বিষয় সহজেই বোঝা যায়।

টাইটেল/Heading এর ব্যবহার: 

অতঃপর আপনার কনটেন্ট এর জন্য ভালোভাবে একটি টাইটেল নির্বাচন করতে হবে। যে টাইটেল দেখলেই একজন মানুষ সেটা পড়ার জন্য আগ্রহী হয়ে যাবে।

সাব টাইটেল/ ‍Sub Heading এর ব্যবহার: 

মূল টাইটেল কে কভার করার জন্য অবশ্যই কিছু কিছু সাবটাইটেল ব্যবহার করতে হবে। যাতে করে মূল টাইটেল এর আন্ডারে অন্যান্য বিষয়গুলি পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়।

সঠিক ইনফর্মেশন দিয়ে সকল হেডলাইন পরিপূর্ণ: 

আপনার টাইটেল এবং সাবটাইটেল এর আন্ডারে স্বচ্ছ/পরিস্কার ইনফরমেশন দিয়ে লেখাটি পরিপূর্ণ করতে হবে। যাতে একজন ইউজার বিষয়টি সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা পায়।

বিভন্ন ধরনের টেক্সট ফর্মেট ব্যবহার: 

এটি আর্টিকেলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফরম্যাট ব্যবহার করতে হবে। যেমন- লিস্ট, বুলেটিক, কোট, ইত্যাদি।

মিডিয়া এর ব্যবহার: 

একটি আর্টিকেল বা কনটেন্ট কে স্বচ্ছ এবং পরিপূর্ণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া ব্যবহার করতে হবে। যেমন, ইমেজ, ইন ফটোগ্রাফি, ভিডিও, পিডিএফ ইত্যাদি হতে পারে।

গ্রামার ও শুদ্ধ বানান: 

অবশ্যই লেখার সময় গ্রামার এবং বানান এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাতে বাক্যগুলো সুন্দর হয় এবং শুদ্ধ বানান থাকে।

মোটিভেশনাল সমাপনী: 

সবশেষে একটি মোটিভেশনাল সমাপনী ব্যবহার করতে হবে। যাতে করে একজন ইউজার এ পর্যন্ত যতটুকু পড়েছে সে সম্পর্কে একটু মোটিভেটেড হতে পারে। এটি একটি আর্টিকেলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

একটি আর্টিকেল সামারি এবং আর্টিকেল সমাপনী একটি আর্টিকেলের সকল কিছু বুঝতে সহায়তা করে।

আরও পড়ুন: ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? গুগল এডসেন্স ইনকাম সেকরেট

৩। অপটিমাইজ পার্ট- আর্টিকেল অপটিমাইজ

আর্টিকেল লেখার অপটিমাইজ পার্টি আমরা নিচের বিষয়গুলি অবশ্যই খেয়াল করব-

ভিজিটরদের আকর্ষন: 

একটি আর্টিকেল রেঙ্ক করানোর জন্য, বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভালো কোয়ালিটি প্রমাণ করার জন্য User Experience গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ আপনার আর্টিকেলটি একজন ইউজার কতটুকু পছন্দ করে। এজন্য আর্টিকেল লেখার সময় টাইটেল এবং লেখাগুলো এরকম ভাবে দিতে হবে যাতে একজন ভিজিটর সহজে আকৃষ্ট হয়।

মিডিয়া অপটিমাইজড:

আমাদের আর্টিকেলে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া যেমন ইমেজ ভিডিও বা কোন ফাইল এগুলো অবশ্যই ভালোভাবে অটোমাইজ করে দিতে হবে। যাতে স্বচ্ছ থাকে এবং লাইট ওয়েট থাকে।

ফিচার ইমেজ/ থাম্বনেইল ইমেজ ব্যবহার:

একটি আর্টিকেলকে পরিপূর্ণ করার জন্য অবশ্যই একটি আর্টিকেলে আই কেচিং থাম্বনেইল/ ফিচার ইমেজ ব্যবহার করতে হবে।

ক্যাটাগরি সিলেক্ট:

ব্লগ পোস্টগুলিকে অবশ্যই ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভক্ত করে দিতে হবে। যাতে একজন ইউজারের নেভিগেট করতে সহজ হয়। যাতে সহজেই একটি বিষয়কে একজন ইউজার খুঁজে পেতে পারে।

ট্যাগ এর ব্যবহার: 

একটি আর্টিকেলকে আরোও ফিল্টারিং করার জন্য ট্যাগ এর ব্যবহার করা যেতে পারে।

টেবিল কন্টেন্ট এর ব্যবহার: 

একটি আর্টিকেলের জন্য টেবিল অফ কন্টেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টেবিল অফ কন্টেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে একজন ইউজার চাইলেই যেকোনো একটি হেডিং এ ক্লিক করে সরাসরি সেখানে চলে যেতে পারবে। 
ইউজারের পছন্দমত বিষয়টি বারবার স্ক্রলিং না করে এক ক্লিকেই সামনে নিয়ে আসতে পারবে।

ইন্টারনাল/ এক্সটারনাল লিংকিং:

একটি আর্টিকেলে অবশ্যই রিলেটেড অন্যান্য আর্টিকেলকে ইন্টারনাল লিংকিং এর মাধ্যমে সংযুক্ত করতে হবে। যাতে একজন ইউজার সহজেই একটি আর্টিকেল থেকে অন্য আরেকটা আর্টিকেলে ডাইভার্ট হতে পারে। 
এবং একটি আর্টিকেল কে আরো জোরালো করার জন্য হাই কোয়ালিটি কোন একটি ওয়েবসাইটের সোর্স হিসাবে এক্সটার্নাল লিঙ্কিং করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই এই সাইটগুলি হতে হবে কোন ট্রেডমার্ক বা ব্র্যান্ডেড ওয়েবসাইট: যেমন, google, facebook, youtube, quora, বা অফিসিয়াল কোন ওয়েবসাইট। 
আও পড়ুন: Google AdSense কি? AdSense থেকে টাকা আয় করার সহজ উপায়

কিওয়ার্ড পজিশনিং ও LSI ব্যবহার করতে হবে:

আপনার আর্টিকেলে অবশ্যই হেডিং, সাবহেডিং, আর্টিকেলের শুরুতে এবং আর্টিকেলের মাঝখানে কয়েক জায়গায় মেইন কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। মেইন কি ওয়ার্ড ব্যবহার করার সাথে সাথে তার রিলেটেড বা ব্রড ম্যাচ কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ মূল Keyword টির অর্থ বহন করে এমন কোন keyword ব্যবহার করতে হবে।

সর্বোপরি আমাদের পরামর্শঃ

আপনি যদি এই লেখাটি গুরুত্বসহকারে শুরু থেকে এই পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি অবশ্যই ভালো মানের একটি কন্টেন্ট খুব সহজেই লিখতে পারবেন। মনে রাখবেন Content Is King। একটি ওয়েবসাইটের কন্টেন্টই হচ্ছে মূল বিষয়। 
একটি ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট যদি ভালো না হয় তাহলে অন্য কোন ভাবে সেই ওয়েবসাইটকে ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়।
শুধুমাত্র ভালো কনটেন্ট দিয়েই, অনেক বড় বড় ওয়েবসাইটেকে আপনি বিড করতে পারবেন।
ধন্যবাদ।

Post a Comment

0 Comments
Post a Comment (0)
আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কি আপনি উপকৃত হয়েছেন?
Ok, Go it!